নিহত নারী হিন্দু নন, বরং মুসলিম ধর্মাবলম্বী

সম্প্রতি, বাংলাদেশে হিন্দু গৃহবধূকে ধর্ষণ। এরপর দুই বাচ্চা সহ গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটিতে হত্যার শিকার নারী হিন্দু ধর্মাবলম্বী নন বরং, হত্যার শিকার নারী হলেন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫)। এছাড়া, নিহত শিশু দুইজন হলেন–রফিকুল ইসলামের মেয়ে রাইসা আক্তার (৭) ও ছেলে মো. নীরব (২)।

অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যম যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৪ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা ফুটেজের সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

যমুনা টিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই সকালে ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার টিঅ্যান্ডটি রোড এলাকার রফিকুল ইসলাম নামের এক পোশাক শ্রমিক নিজ ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ দেখতে পান। 

ওই বাসায় থাকতেন রফিকুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলাম। পুলিশ নজরুলের কক্ষ থেকে দা উদ্ধার করেছে এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা কর।

নিহতরা হলেন– রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), মেয়ে রাইসা আক্তার (৭) ও ছেলে মো. নীরব (২)। 

এছাড়া, একই তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে প্রথম আলো, ইত্তেফাক এবং বিডিনিউজ২৪

অর্থাৎ, নাম দেখে সহজেই অনুমেয় যে নিহত নারী মুসলিম ধর্মাবলম্বী৷ তবে, স্ত্রী ময়না বেগমকে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, পরবর্তীতে ১৫ জুলাই বিকেলে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।

সুতরাং, ময়মনসিংহের ভালুকায় হত্যার শিকার মুসলিম মা ও দুই সন্তানকে হিন্দু দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img