সম্প্রতি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কথিত আহ্বায়ক পরকীয়া করতে গিয়ে জনগণের হাতে ধরা পড়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। প্রচারিত ভিডিওতে এক নারী ও পুরুষকে জুতার মালা পড়িয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করানোর পাশাপাশি মারধর করতে দেখা যায়।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত একই ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
থ্রেডসে একই দাবিতে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পরকীয়ার সময় এনসিপির কথিত আহ্বায়কের জনগণের হাতে আটক ও মারধরের শিকার হওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, আলোচিত ভিডিওটি সত্য কোনো ঘটনার নয়। স্ক্রিপ্টেড বা অভিনীত ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এনসিপির কোনো আহ্বায়কের আলোচিত পরিস্থিতিতে আটক হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি দেখা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির ১৬ জন যুগ্ম আহ্বায়কের কারোর চেহারার সাথেই ভিডিওতে আটক কারও চেহারার মিল নেই।
পরবর্তী অনুসন্ধানে Asia Bangla Media নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রচারিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটির শিরোনামে দাবি করা হয়, এটি প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়া করার সময় জনগণের হাতে আটক হওয়ার ঘটনার ভিডিও। উক্ত ভিডিওটি ব্যতীতও তাদেরকে মারধরের আরেকটি ভিডিও পেজটিতে পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে পেজটি পর্যালোচনা করে আটক ব্যক্তিদের পরকীয়ার দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিও খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটিতেও ওই নারী ও পুরুষকে একই পোশাকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে জনগণের হাতে আটক হওয়ার ভিডিওগুলোতে প্রবাসীর স্ত্রী বলা হলেও এই ভিডিওতে মহিলা বলেন তার স্বামী একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি দেশেই থাকেন।

এছাড়াও উক্ত ভিডিওগুলো ব্যতীতও পেজটিতে প্রচারিত একাধিক ভিডিওতে ওই নারীকে দেখতে পাওয়া যায়। এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

প্রতিটি ভিডিওতেই ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট এবং চরিত্রে তাকে দেখা যায়। যা থেকে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, এর কোনোটিই সত্য ঘটনা নয় বরং সবগুলোই স্ক্রিপ্টেড ভিডিও।
সুতরাং, স্ক্রিপ্টেড ভিডিওকে এনসিপির কথিত আহ্বায়কের পরকীয়া করার সময় জনগণের হাতে ধরা পড়ার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।