সম্প্রতি অনলাইনে জনসমুদ্রের একটি ভিডিও প্রচার করে ভিডিওটিতে লেখা হয়েছে, “ওয়াকার ওয়াকার সামনে নেই তোর রাজাকার”৷ এছাড়াও, একই ভিডিওটি “ওয়াকার ওয়াকার | সামলে নেয় তোর রাজাকার — এইবার শুরু যুদ্ধের ডাক | দেশের মাটিতে রাজাকারের আর জায়গা নাই, একটাই স্লোগান — মুক্তি চাই!” ক্যাপশনেও প্রচার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রচারিত ভিডিওটিতে জনসমুদ্র থেকে স্লোগান শুনতে পাওয়া যায় ‘ওয়াকার ওয়াকার, সামলে নেয়/নেই তোর রাজাকার’।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত দাবিতে প্রচারিত উপরোল্লিখিত ভিডিওগুলো সম্মিলিতভাবে প্রায় ২০ লক্ষ বার দেখা হয়েছে এবং প্রায় ৭০ হাজারটি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টগুলোতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
এছাড়াও, উক্ত ভিডিওটি ইউটিউবেও পোস্ট হতে দেখা যায়। দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি ইউটিউবে প্রচারিত উপরোল্লিখিত ভিডিওটি এককভাবে প্রায় ২৬ লক্ষ বার দেখা হয়েছে এবং ১৮ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটিতে লাইক দেওয়া হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জনসমুদ্র থেকে সেনাপ্রধান বিরোধী স্লোগান দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আসল কোনো দৃশ্যের নয় বরং, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ভিডিও।
ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কোনো বিশ্বস্ত গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে ভয়েস, মানুষ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাতেও অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয় যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি কনটেন্টে পরিলক্ষিত হয়।

এছাড়া, ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে ভিডিওটির নিচের ডান কোণে ‘Veo’ নামের একটি জলছাপ ও এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্টের লেবেল দেখতে পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘Veo’ গুগলের একটি উন্নত এআই টুল, যা টেক্সট প্রম্পট থেকে ৮ সেকেন্ডের বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম। এই ভিডিওটির দৈর্ঘ্যও ৮ সেকেন্ড।
এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওকে জনসমুদ্রে সেনাপ্রধান বিরোধী স্লোগানের আসল দৃশ্য দাবি করে অনলাইনে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Veo
- Rumor Scanners’ analysis