বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ভিডিওকে বাংলাদেশিদের ভারতের আসামে আক্রমণের দৃশ্য দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, ‘অবৈধ বাংলাদেশিরা আসামের গোলপাড়ায় কর্মকর্তাদের এবং পুলিশকে সহিংসভাবে আক্রমণ করার জন্য হাতে তৈরি বর্শা নিয়ে সশস্ত্র হয়েছে।’ (অনূদিত) ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

অর্থাৎ দাবি করা হয়েছে, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিরা বাংলাদেশী নাগরিক। তারা হাতে তৈরি বর্শা নিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের গোলপাড়ায় পুলিশ এবং কর্মকর্তাদের আক্রমণ করতে প্রস্তুত হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ভারতের আসাম রাজ্যের নয় প্রকৃতপক্ষে, এটি  গত জুলাই মাসে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের আব্দুল্লাপুর গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও।

অনুসন্ধানে চ্যানেল আইয়ের ইউটিউব চ্যানেলে গত ০১ জুলাই ‘অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪০, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ’ শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওর ডেসক্রিপশন থেকে জানা যায়, গত ০১ জুলাই সকালে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও জানা যায়। 

এই সূত্র ধরে অনুসন্ধানে একই তারিখে ঢাকা মেইলের ওয়েবসাইটে “অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৪০” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত একটি ছবির সাথেও আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

ঢাকা মেইলের প্রতিবেদন থেকেও এ বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি ভারতের আসাম রাজ্যের নয়।

সুতরাং, গত জুলাই মাসে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ভিডিওকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতের আসামে আক্রমণের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img