ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় কেউ মারা যায়নি

০৬ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের আগুনে লেগে একজন মারা গেছেন শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। কতিপয় পোস্টে দুইজন মারা গেছেন শীর্ষক দাবিও প্রচার করা হয়েছে।

একজন মৃত্যু দাবিতে ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে

দুইজন মৃত্যু দাবিতে ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ০৬ আগস্ট আগুন লাগার ঘটনায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি বরং, অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় কিছু শিক্ষার্থী আহত হলেও তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে ০৬ আগস্ট প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ল্যাবে আগুন লাগার পর সিঁড়ি দিয়ে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এসময় সিড়ির রেলিং ভেঙে পড়ে। ০৬ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিজ্ঞানের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে হট গ্লুগান ব্যবহারের সময় ভুলবশত পানি ভেবে পেট্রোল ব্যবহার করে। এতে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় এবং ছড়িয়ে পড়ে। তবে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

দেশের মূলধারার প্রায় বেশিরভাগ গণমাধ্যমেই এই খবরটি প্রকাশ হলেও কোনোটিতেই মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়নি। 

অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো. সামিউল হুদার বক্তব্য পাওয়া যায়। তিনি জানাচ্ছেন, সাকেরা আক্তার সৌমিয়া (১৩), বারিয়া সুলতানা (১৫), তানজিনা আক্তার (১৪), নূহা ইসরাত (১৪), ফারিয়া আক্তারকে (১৪) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য রোহান (১৫) নামের এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।

পরবর্তীতে বিদ্যালয়টির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি জরুরি নোটিশ থেকে একই তথ্য জানা যাচ্ছে।

সুতরাং, ০৬ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুর দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img