ইসরায়েলের আবাসিক এলাকায় ইরানের হামলার ভিডিওকে নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারে হামলা দাবিতে প্রচার

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে “ব্রেকিং নিউজ: অকল্পনীয় কিছু ঘটে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজ জানাচ্ছে ইরান মিসাইল হামলা চালিয়ে তে*ল *আ*বিবের কিরিয়া নিউক্লিয়ার রিসার্স সেন্টার পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। এটাকে আ*মে*রিকার প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পে*ন্টা*গণের সমতুল্য মনে করা হয়। এখন পর্যন্ত মিসাইল হামলায় হি*জরাই-লের নেভি চিফ কমান্ডার জেনারেল হালেভি অলিভ এবং কয়েক ডজন হিজ-রে*লী সৈন্য নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বেশি করে শেয়ার করে ইসলামের বিজয় জানিয়ে দেন।”  ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটিতে প্রদর্শিত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের দৃশ্যটি ইসরায়েলের তেল আবিবের নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারের নয় বরং, ইসরায়েলের আবাসিক এলাকায় হামলার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটি কিছু কী-ফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চে ‘A.Z’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৫ জুন “دنیا کے اندر سب سے مضبوط اور محفوظ سمجھے جانے والے اسرائیلی شہر تل ابیب کے اب سے تھوڑی دیر قبل کے” শীর্ষক  শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

এছাড়া, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম “NEWS9 Live” এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৫ জুন “Israel’s Attack on Iran Escalates: Missile Strikes Kill 4, Dozens Injured in Bat Yam & Tamra | News9” শীর্ষক  শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটি একই ঘটনায় ধারণকৃত ভিন্ন ফ্রেমের ভিডিও। 

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে একই ঘটনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম “The New York Times” এর ওয়েবসাইটে গত ১৫ জুন “Israel Wakes Up to More Casualties After Second Night of Fighting” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “১৫ জুন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ধ্বংসাবশেষে রবিবার সকালে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর রেহোভোটের রাস্তাগুলো ভরে যায়। দেশজুড়ে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে, এবং অনেকেই আহত হয়েছে, কারণ কিছু ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে রেহোভোট, তেল আবিবের দক্ষিণে বাট ইয়াম এবং উত্তরের আরব শহর তামরায় আঘাত হানে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শক্তিশালী বিস্ফোরণের ফলে বহু মানুষ আহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হালকাভাবে আহত। বাট ইয়ামে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ধ্বংস হয়ে যায়, যেখানে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং অনেক আহত হয়েছে বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।”

এ বিষয়ে সেসময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম একই তথ্যসংবলিত সংবাদ (,,) প্রচার করেছে।

সুতরাং, ইসরায়েলের আবাসিক এলাকায় ইরানের হামলার ঘটনাকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইসরায়েলের তেল আবিবের নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারে হামলার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img