সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার আমেরিকান নাগরিকত্ব বাতিলের জন্যে আবেদন করেছেন দাবিতে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নিউইয়র্ক টাইমস ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল করেছেন দাবি করে কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি। এছাড়াও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মার্কিন নাগরিকত্ব থাকার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে অনুসন্ধানে মার্কিন গণমাধ্যম New York Times এর ওয়েবসাইটে Dr. Mohammod Yunus সংক্রান্ত কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও দেশীয় গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমেরিকান নাগরিকত্ব বাতিলের জন্যে তার আবেদন করার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার নাগরিকত্বের বিষয়ে জানতে Yunus Centre এর ওয়েবসাইটে থাকা তার সিভিটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার। পর্যবেক্ষণে সিভিতে তার নাগরিকত্বের স্থানে শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকত্ব থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও সিভির Special Honour সেকশনে তার ইতালির দুটি শহর বোলোগনা ও পিস্তোইয়া এবং ফ্রান্সের প্যারিস শহরের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পাওয়ার তথ্যও দেখতে পাওয়া যায়। তবে সিভি বা অন্যকোনো সূত্রে তার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব থাকার দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে জড়িয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমেরিকান নাগরিকত্ব বাতিলের জন্যে আবেদন করার তথ্যটি প্রচার করা হয়েছে।
সুতরাং, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমেরিকান নাগরিকত্ব বাতিলের জন্যে আবেদন করেছেন জানিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে সংবাদ প্রকাশের দাবিটি মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- New York Times Website: Muhammad Yunus – The New York Times
- Yunus Centre Website: CV of Professor Muhammad Yunus