সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়া গোয়েন্দা ইন্টারন্যাশনাল আই এস আদালত থেকে বৈধ ঘোষণা করেছেন শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে৷

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে ভিডিও আকারে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে টেক্সট আকারে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শেখ হাসিনার অস্ট্রেলীয় আদালত থেকে বৈধতা পাওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং, ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও এবং অস্ট্রেলীয় আদালতের নাম ব্যবহার করে ভুয়া দাবিটি প্রচার করা হয়েছে৷
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের টেলিভিশন চ্যানেল Sharjah TV এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর ‘Reem Al Hashimy receives Deputy Foreign Minister of Kazakhstan’ (আরবি থেকে অনূদিত) শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর বিষয়বস্তু ও পারিপার্শ্বিকতার মিল রয়েছে।

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, সে সময় কাজাখস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুখতার তলিউবেরদির সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী রীম বিনতে ইব্রাহিম আল হাশিমি সাক্ষাৎ করেন। ওই বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির পন্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তাছাড়া, অস্ট্রেলিয়ায় ‘গোয়েন্দা ইন্টারন্যাশনাল আই এস আদালত’ নামে কোনো আদালত নেই৷ সেখানে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট এবং এটির অধীনে সুপ্রিমকোর্ট ও ফেডারেল কোর্ট রয়েছে৷
এছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে অস্ট্রেলীয় কোনো আলাদত কতৃক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধতা ঘোষণার কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি৷
সুতরাং, ভিন্ন প্রেক্ষাপটের পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে অস্ট্রেলীয় আদালত থেকে শেখ হাসিনার বৈধতা ঘোষণার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা৷