সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে দেশে সামরিক শাসন জারির গুজব

গত ০১ ডিসেম্বর ‘সামরিক শাসন জারি করলেন সেনাপ্রধান ওকারুজামান _কেড়ে নিল ইউনুসের নোবেল’ শীর্ষক ক্যাপশনে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। ভিডিওতে দাবি করা হয়, ড. ইউনুসকে সরিয়ে সামরিক শাসন জারি করেছেন সেনাপ্রধান। 

ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

দেশে সামরিক শাসন জারির কোনো ঘোষণা দেননি এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল পুরষ্কার কেড়ে নেওয়ারও কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং, ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ক্লিপ একত্রিত করে এই ভুয়া তথ্যগুলো প্রচার করা হয়েছে। 


অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওতে সেনাপ্রধানের একটি বক্তব্যের খণ্ডিত ক্লিপসহ কয়েকটি পৃথক ঘটনার অপ্রাসঙ্গিক ক্লিপ যুক্ত করা হয়েছে৷ ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে সেনাপ্রধান কর্তৃক সামরিক শাসন জারি এবং ইউনূসের নোবেল কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করতে দেখা গেছে। তবে দাবির সপক্ষে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে দেখা যায়নি।

মূলত ৫ মাস আগে গত জুন মাসে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান দায়িত্ব গ্রহণকালে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য একটি বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ক নিয়ে কথা  বলেন। বক্তব্যে, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তবে তারা কোনো প্রোভোকেশনে কান দেবেননা বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার এই বক্তব্যের কিছু অংশের সাথে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার কিছু ক্লিপ যুক্ত করে আলোচিত  ভিডিওটি তৈরিকরা হয়।

সামরিক শাসন জারির দাবির বিষয়ে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর ওয়েবসাইট, সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট , ফেসবুক পেজে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ভিডিওতে দাবি করা হয়, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি ও সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে  পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিডিওতে, ড ইউনূসের নোবেল পুরষ্কার কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। তবে এইসব দাবিরও কোনো সত্যতা নেই।

Limon Vai is back নামের যে একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে এই ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ইতোপূর্বে কোনো প্রকার সূত্র ছাড়াই একাধিক (, ) অপতথ্যমূলক ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

সুতরাং, সেনাপ্রধান সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দিয়েছেন এবং ড. ইউনূসের নোবেল পুরষ্কার কেড়ে নেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। 

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img