সুইজারল্যান্ডের আদালতে শেখ হাসিনাকে বৈধ ঘোষণা করার তথ্যটি ভুয়া 

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেন। সম্প্রতি, সুইজারল্যান্ডের আদালত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৈধ ঘোষণা করেছেন দাবিতে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে দুইজন ব্যক্তি পাশাপাশি বসে স্বাক্ষর করছেন এমন ছবি যুক্ত একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওটি দেখুন- এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন লেখা অবধি টিকটকে প্রচারিত উক্ত দাবির ভিডিওই দেখা হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ্য ৬০ হাজার বারেরও বেশি। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ৩২ হাজারেরও বেশি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওটি ৬০০ বারের বেশি শেয়ার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সুইজারল্যান্ডের আদালত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৈধ ঘোষণা করেনি বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই গায়ানা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ভিসা ফ্রি ট্র্যাভেলের জন্য স্মারকলিপি স্বাক্ষর করার ছবি প্রচার করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে গায়ানার গণমাধ্যম Guyana Chronicle’ এর ওয়েবসাইটে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ‘Guyana, UAE sign MoU for visa-free travel’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি ফিচার ইমেজ হিসেবে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদনটিতে ছবির ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়, গায়ানার পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী হিউ টড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের দৃশ্য এটি।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গায়ানা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)  মধ্যে পারস্পরিক ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

এছাড়া, সুইজারল্যান্ডের আদালতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৈধ ঘোষণা করেছেন কিনা তার সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচিত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবে এমন কিছু হলে তা দেশিয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হবার কথা কিন্তু গণমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, সুইজারল্যান্ডের আদালত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৈধ ঘোষণা করেছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img