ছাত্রলীগ নেত্রী আতিকাকে ভারতে হিন্দু দাবিতে প্রচার 

সম্প্রতি, ভারতীয় কিছু এক্স (সাবেক টুইটার), ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের ছাত্র নেত্রী আতিকাকে হিন্দু এবং তিনি ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেত্রী আতিকা হিন্দু ধর্মের অনুসারী নয় বরং, মুসলিম ধর্মের অনুসারী এই নেত্রী জুলাইয়ে কোটা আন্দোলনে ক্যাম্পাস ছাড়া হওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে আসেননি। তিনি ধর্ষণ এবং হত্যার শিকার হয়েছেন শীর্ষক দাবিটিও সঠিক নয়।  

অনুসন্ধানে গত ১৭ জুলাই ঢাকা ট্রিবিউন এর ওয়েবসাইটে “ঢাবির রোকেয়া হল ছাত্রলীগ সভানেত্রীকে মধ্যরাতে বের করে দিলেন আন্দোলনকারীরা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই নারীর ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Image Comparison By Rumor Scanner 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই নারীর নাম আতিকা বিনতে হোসাইন। নাম দেখেই এটা স্পষ্ট যে, তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি।

ঢাকা ট্রিবিউন বলছে, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে  আতিকাসহ ৯ ছাত্রলীগ নেত্রীকে হল ছাড়তে বাধ্য করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

এরপর আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি ঢাবির এই নেত্রীকে। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। 

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে আতিকা বিনতে হোসাইন ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হওয়া সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ছাত্রলীগের নেত্রী আতিকা বিনতে হোসাইনকে হিন্দু এবং তিনি ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন শীর্ষক একটি দাবি প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img