গাড়িবহর আটকানোর ভিডিওটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর

গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চুরিকে কেন্দ্র করে গণপিটুনিতে মো. মামুন নামের এক বাঙালি যুবককে হত্যা করার জের ধরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফলশ্রুতিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে পাহাড়ি এলাকায়। সংঘাতের এই রেশ পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙামাটিতেও ছড়িয়েছে। হতাহত এবং নিহতের তথ্যও সামনে এসেছে। এরই প্রেক্ষিতে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভিডিও দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওতে কিছু নারীকে গাড়িবহর আটকানোর চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে।

সেনাবাহিনীর

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার নয় এবং ভিডিওটি বাংলাদেশেরও নয় বরং এটি ভারতের সেনাবাহিনীর পুরোনো ভিডিও।

ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিটে পাঁচ মাস পূর্বে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

উক্ত পোস্ট থেকে জানা যায়, এটি বিক্ষোভকারী কর্তৃক ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়িবহর অবরোধের ভিডিও।

এছাড়া, @beingh_chikim নামক এক্স অ্যাকাউন্টে গত ৩০ এপ্রিলে প্রকাশিত একই ভিডিও থেকে জানা যায় ভারতের মণিপুরে হত্যাকারীদের ভারতীয় সেনাবাহিনী আর্মি ধরতে গেলে মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর কিছু নারী তাদের অবরোধ করে আন্দোলন করে।

সুতরাং, ভারতের পুরোনো ভিডিওকে সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাড়িবহর আটকানোর ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img