সম্প্রতি, “একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ” শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ার আদেশটি সারাদেশের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য নয় বরং ২০২৩ সালের নভেম্বরে বরগুনা সরকারি কলেজে ক্লাস চলাকালীন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার তথ্যটি উক্ত কলেজের নাম উল্লেখ না করে শুধুমাত্র একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য দাবিতে প্রচারিত হচ্ছে।
মূলত, ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উক্ত কলেজে ক্লাস চলাকালীন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সেসময় উক্ত নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে অনলাইন পোর্টাল ঢাকা পোস্ট তাদের ফেসবুক পেজে ‘একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ’ শীর্ষক তথ্যে একটি ফেসবুক পোস্ট করে এবং একই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। তবে সেসময় উক্ত সংবাদ শিরোনাম এবং ফেসবুক পোস্টে বরগুনা সরকারি কলেজের কথা উল্লেখ না থাকায় নেটিজেনরা বিষয়টি সারাদেশের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আদেশ ভেবে বিভ্রান্ত হয়ে এ বিষয়ে নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে এবং উক্ত পোস্টটিকে কপি পেস্ট করে বরগুনার বিষয় উল্লেখ না করে প্রচার করে। উক্ত বিষয়টিই সাম্প্রতিক সময়ে আবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বরে উক্ত বিষয়টি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।