বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের পথ ধরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে গত ০৫ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদায় নিয়েছে তার সরকার। ভেঙে দেওয়া হয়েছে ১২তম জাতীয় সংসদ। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদলের খবর আসলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া কতিপয় পোস্টে দাবি করা হয়, সেনাবাহিনীর প্রধান পদে পরিবর্তন এসেছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের বিদায় পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর প্রধান পদে পরিবর্তন আসেনি বরং বাহিনীটির যে শীর্ষস্থানীয় পদগুলোর পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ভুয়া এই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে এ সংক্রান্ত দাবিকৃত একটি পোস্টের কমেন্টে দাবিটির সূত্র হিসেবে যমুনা টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সংবাদের স্ক্রিনশট পাওয়া যায়৷
উক্ত স্ক্রিনশটের সূত্রে যমুনার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গত ০৬ আগস্টের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে বড় রদবদল করা হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হককে কমান্ড্যান্ট এনডিসি এবং মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমানকে এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এই সংবাদে সেনাপ্রধান পদে পরিবর্তনের কোনো তথ্য মেলেনি৷ তবে কমেন্টের স্ক্রিনশটে “লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ” শীর্ষক বাক্য চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, সেনাপ্রধানের পদের নাম চিফ অব জেনারেল স্টাফ নয় বরং চিফ অফ আর্মি স্টাফ। এই পদে সর্বশেষ পরিবর্তন আসে গত জুনে। ২৩ জুন এই দায়িত্বে আসেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এরপর আর এই পদে পরিবর্তন আসেনি।
সুতরাং, শেখ হাসিনা সরকারের বিদায় পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর প্রধান পদে পরিবর্তন এসেছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Jamuna Tv: সেনাবাহিনীতে শীর্ষ পদে রদবদল
- Rumor Scanner’s own analysis