সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলে ইরানের হামলার ভিডিও দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের ইসলায়েলের তেল আবিবে হামলার ঘটনার নয় বরং, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধে বাগদাদে হামলার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটি কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ‘ODATV’ র ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ‘বাইডেন নিন্দা জানিয়েছেন, ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণ আলোচনায় এসেছে।’ (অনূদিত) শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ভিডিওর ২২ সেকেন্ড অংশ থেকে ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড অংশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি রাশিয়াকে যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে এবং তাদের সেনাদের ইউক্রেন থেকে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে সেসময় সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভূমিকাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন কারণ বাইডেন ছিলেন ইরাক আক্রমণের সবচেয়ে বড় সমর্থকদের একজন।
পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে একই ঘটনায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘ITN Archive’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২১ মার্চ ‘Iraq War: Shock and Awe Assault on Baghdad Begins (2003)’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একই ঘটনায় ভিন্ন কোন থেকে ধারণকৃত আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের ইসরায়েলের তেল আবিবে হামলার ঘটনার ভিডিও নয়।
সুতরাং, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধে বাগদাদে হামলার ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের ইসলায়েলের তেল আবিবে হামলার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র