সরকার পতনের পর সাদ্দাম-ইনান জনসম্মুখে এসেছেন দাবিতে পুরোনো ছবি প্রচার

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন৷ পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের একটি ছবি যুক্ত করে ‘পতনের পর প্রথমবার সামনে আসলেন সাদ্দাম ও ইনান’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সাদ্দাম-ইনান

উক্ত দাবিতে প্রচারিত এক্স পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন এবং শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সম্প্রতি জনসম্মুখে আসলেন দাবিতে প্রচারিত দাবিটি সঠিক নয় বরং, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত ৩১ মার্চ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন সমাবেশে সাদ্দাম ও ইনানের অংশগ্রহণ করার মুহুর্তে ধারণ করা ছবি দিয়ে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর ওয়েবসাইটে গত ৩১ মার্চ ‘নেতাকর্মীদের নিয়ে এবার প্রকাশ্যে বুয়েটে ঢুকল ছাত্রলীগ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ফিচার ইমেজের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি ফেরানোর দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার পর প্রকাশ্যেই নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে কয়েকশ নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেন তারা। সেখানে ফুল দেওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে বুয়েট ত্যাগ করেন। এ সময় বুয়েটের মূল ফটক এবং বিভিন্ন হলের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

গণমাধ্যমে সেই সময়ে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদন (, ) থেকেও নিশ্চিত হওয়া যায় সাদ্দাম ও ইনানের ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়।

সুতরাং, পুরোনো ঘটনার ছবি যুক্ত করে সরকার পতনের পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান জনসম্মুখে এসেছেন শীর্ষক দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img