গত ২১ অক্টোবর থেকে ‘আজকে বিকালে ৪:৩০ ঢাকা শাহাবাগের জয় বাংলা এক বিশাল মিছিল ঢাকা শাহবাগ এখন আওয়ামী লীগ এর দখলে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
দাবি করা হচ্ছে- গত ২১ অক্টোবর বিকেলে সাড়ে চারটায় শাহবাগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের দৃশ্য এটি।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ২১ অক্টোবর শাহবাগে আওয়ামী লীগের মিছিলের নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ১৫ অক্টোবর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের তিন দফা দাবিতে আয়োজিত আন্দোলনের দৃশ্য।
অনুসন্ধানে এটিএন বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যের সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

এটিএন বাংলার ক্যাপশনেল থেকে জানা, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যাওয়ার দৃশ্য এটি।
একই দিনে একই ভিডিও মেহেদি হাসান নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও পোস্ট করতে দেখা যায়। সেখানেও তিনি শিক্ষকদের আন্দোলনের দৃশ্য উল্লেখ করেছেন।
উক্ত সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর নিজেদের তিন দফা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। সকাল ১১ টায় আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন। পরবর্তীতে ওইদিন বেলা দুইটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বড় মিছিল নিয়ে শিক্ষক–কর্মচারীরা শাহবাগ মোড়ের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে শাহবাগের প্রবেশমুখে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। তবে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে সেই প্রতিবন্ধক ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা।
অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের নয়।
সুতরাং, গত ১৫ অক্টোবর তিন দফা দাবি নিয় আন্দোলনতর শিক্ষক-কর্মচারীদের পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ভিডিওকে শাহবাগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- ATN Bangla- পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
- Mehedi Hasan- Facebook Post
- Prothom Alo- পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে শিক্ষকেরা, যানবাহন চলাচল বন্ধ





