সম্প্রতি, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণের দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাম্প্রতিক সময়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলার প্রস্ততি হিসেবে বিমানবন্দরটিতে অনুষ্ঠিত মহড়ার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ৮ জুন ‘হঠাৎ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পার্কিং ঘিরে ফেললো নিরাপত্তাকর্মীরা!’ শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

উক্ত ভিডিওর বিবরণী থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি এক্সারসাইজ’। নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলার প্রস্ততি হিসেবে এই মহড়ায় অংশ নেয় বিমান ও নৌবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থা। সন্ত্রাসী হামলা, হুমকি বা বিমানবন্দর আক্রান্ত হলে উদ্ধার তৎপরতা, সরঞ্জামের ব্যবহার ও উদ্ধারকারি সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়।
অর্থাৎ, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণের নয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে সে বিষয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে ঢালাওভাবে সংবাদ প্রচার হতো। কিন্তু মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র এমন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত মহড়ার ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।