সম্প্রতি নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ প্রচারের জেরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের নরসিংদীর স্টাফ করেসপনডেন্ট আইয়ুব খান সরকারের ওপর জেলা সদর হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এরই প্রেক্ষিতে ‘সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলায় নিহত যমুনা টিভির সাংবাদিক…’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে৷

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)৷
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নরসিংদীতে হামলার শিকার যমুনা টিভির নরসিংদীর স্টাফ করেসপনডেন্ট আইয়ুব খান সরকার মারা যাওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম সময় টিভির লোগো রয়েছে।
উক্ত সূত্র ধরে সময় টিভির ফেসবুক চ্যানেলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত আলোচিত ভিডিওর অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার হয় যমুনা টিভির স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, এটি সে ঘটনার ভিডিওচিত্র।
ভিডিওটিতে কোথাও উক্ত সাংবাদিক মারা গেছেন বলে দাবি করা হয়নি।
পরবর্তীতে, যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১; সাংবাদিকের ওপর হামলা’ শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিওতেও একই ফুটেজ খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১ জন। আহত হয়েছেন ৫ জন। সেদিন ভোরে সদরের আলোকবালীর চরে এই ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, এই সংবাদ প্রচারের জের ধরে যমুনা টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। তাকে বেধড়ক মারধর করে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুমের অনুসারীরা। আহত সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকারকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যমুনা টিভির ওয়েবসাইটে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন নরসিংদীতে আলোকবালীর চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইদন মিয়া নামে একজন নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, এই সংঘর্ষের সংবাদ প্রচারের জেরে যমুনা টিভির নরসিংদীর স্টাফ করেসপনডেন্ট আইয়ুব খান সরকারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় সংঘর্ষে আহতদের সংবাদ সংগ্রহ করতে নরসিংদী সদর হাসপাতালে গেলে বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুমের অনুসারীরা তার ওপর হামলা চালায়। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান সাংবাদিক আইয়ুব খান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন
সুতরাং, নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ প্রচারের ঘটনায় আহত যমুনা টিভির নরসিংদীর স্টাফ করেসপনডেন্ট আইয়ুব খান সরকার মারা গেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Somoy TV – Facebook Post
- Jamuna TV – বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১; সাংবাদিকের ওপর হামলা
- Jamuna TV – নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১