ঢাবি শিক্ষক মোনামী ও ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দিনের ছবি সম্পাদনা করে অপপ্রচার

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া (মোনামী) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মো. মহিউদ্দীন খানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে তাদের দুজনকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় দেখা গেছে।

এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

একই দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মহিউদ্দীন খান ও শেহরীন আমিনের ভাইরাল ছবিটি আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, তাদের আলাদাভাবে তোলা দুটি ছবি সংগ্রহ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পাদনা করে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে এই ছবির অস্তিত্ব মেলেনি। তবে, শেহরীন আমিনের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার (বর্তমানে অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় নয়) এবং মহিউদ্দীন খানের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারে ব্যবহৃত পৃথক ছবিগুলোর সঙ্গে আলোচিত ছবির পোশাক ও বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে।

আলোচিত ছবিটি সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলে, এর নিচের ডান কোণে গুগলের জেমিনি এআইয়ের জলছাপ লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া, শেহরীন আমিনের ছবির অংশবিশেষ আলোচিত ছবিতে লক্ষ্য করা যায়।

Comparison: Rumor Scanner. 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট গুগল ডিপমাইন্ড ‘ন্যানো বানানা’ নামে একটি উন্নত ইমেজ এডিটিং মডেল উন্মোচন করেছে, যা বর্তমানে গুগলের এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট জেমিনির মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এই মডেল ব্যবহারকারীদের উন্নত ও সৃজনশীলভাবে ছবি সম্পাদনার সুযোগ প্রদান করে। এর একটি বিশেষ ফিচার হলো ‘ব্লেন্ড ফটোস টুগেদার’, যার মাধ্যমে পৃথকভাবে তোলা একাধিক ছবি একত্রিত করে নতুন একটি দৃশ্য তৈরি করা সম্ভব।


অর্থাৎ, মো. মহিউদ্দীন খান ও শেহরীন আমিনের পৃথক ছবি এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

সুতরাং, মো. মহিউদ্দীন ও শেহরীন আমিনের জড়িয়ে ধরার ভাইরাল ছবিটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img