গত ২১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে, “এই মুহুর্তে সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের বাসে আগুন দিলো, সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। দুপক্ষের আবারও ভয়াবহ সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে…” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা কলেজের বাসে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের আগুন দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। গত ১৪ আগস্ট সিলেটে জনতার বাসে আগুন দেওয়ার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে সিলেটের স্থানীয় গণমাধ্যম নতুন সিলেটের ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের ১৪ আগস্ট “সিলেটে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নি হ ত” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওটি মিল রয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ভবনের আলো বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ভিডিওটি ওই ঘটনারই।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সিলেটের ওসমানীনগরে যাত্রীবাহী বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়। দুর্ঘটনার পর সন্ধ্যায় উপজেলার তাজপুর বাজারে ঘাতক বাস আটক করে উত্তেজিত জনতা অগ্নিসংযোগ করে।
পরবর্তীতে, কি ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় দৈনিক নয়া দিগন্তের ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের ১৪ আগস্ট “ওসমানীনগরে বাসচাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত, বাসে আগুন দিল জনতা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদন থেকেও আলোচিত ভিডিওর বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়।
অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি ঢাকা কলেজের বাসে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের আগুন দেওয়ার ঘটনার নয়।
সুতরাং, গত ১৪ আগস্ট সিলেটে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যুর ঘটনায় জনতার বাসে আগুন দেওয়ার দৃশ্যকে ঢাকা কলেজের বাসে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের আগুন দেওয়ার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।