সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচারিত হয়েছে যেখানে একটি গলির মধ্যে হিজাব পরিহিত কিছু মেয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাদের মধ্যে সামনের জন অভিযোগের সুরে কথা বলছেন।
ভিডিওটিতে সামনের মেয়েটিকে বলতে শোনা যায়, “জামাতি ভণ্ড নেতারা ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের ভোগ করতে চায়।”

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
এই প্রতিবেদন লেখা অবধি ফেসবুকে এই ভিডিওটি ২ লক্ষ ৪৪ হাজার বারের বেশি দেখা হয়েছে এবং ভিডিওটি ৭ হাজার ২শত বারের বেশি শেয়ার করা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার মেয়েদের ভোগ করতে চায় দাবির এই ভিডিওটি আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
এই বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম কিংবা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত এই ভিডিওর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামী নেতাদের বিরুদ্ধে মেয়েদের এমন কোনো অভিযোগের তথ্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও, রিউমর স্ক্যানার টিমের বিশ্লেষণে মেয়েগুলোর দাঁড়ানোর ভঙ্গি, কথা বলা মেয়েটির কণ্ঠস্বর, ভিডিওর ধরণ এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে ভিডিওটিকে কোনো বাস্তব ঘটনার বলে প্রতীয়মান হয় না।
পরবর্তীতে ভিডিওটি এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী টুল ক্যান্টিলাক্সে বিশ্লেষণ করা হলে, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৮৮ শতাংশ বলে ফলাফল আসে।

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত এই ভিডিওটির দৈর্ঘ ৮ সেকেন্ডের। ভিডিওটি ৮ সেকেন্ড দীর্ঘ হওয়ায় এটি গুগলের অত্যাধুনিক এআই টুল Veo দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ‘Veo’ টেক্সট প্রম্পট থেকে ৮ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম।
সুতরাং, এআই ভিডিওকে জামায়াতের নেতারা ছাত্রীসংস্থার মেয়েদের ভোগ করতে চায় দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- AI Content Detection Tool: Cantilux
- Rumor Scanner’s Analysis