সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি ভোলায় আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপির মব সন্ত্রাসীদের দ্বারা প্রকাশ্যে রাস্তায় পিটিয়ে হত্যার দৃশ্য এটি।

উক্ত দাবির ফেসবুক ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।
একই দাবির ইনস্টাগ্রাম ভিডিও দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং, নেপালের ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে গত ০৯ সেপ্টেম্বর Gen Z Nepal নামের একটি পেজে প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির বর্ণনা অনুযায়ী, ০৮ সেপ্টেম্বর গুলি করার নির্দেশ দেওয়া ডিএসপির অবস্থা এটি।

একই ঘটনার আরো একটি ভিডিও নেপালের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, কাঠমান্ডুর একজন ডিএসপি মারা গেছেন। তিনিই আন্দোলনে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আন্দোলনকারী যুবকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে ধাওয়া করে মারধর করে। পরবর্তীতে তার মৃত্যু নিশ্চিতের মাধ্যমে তারা প্রতিশোধ নেয়।

নেপালের মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোতে এই ভিডিওর বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি লাইভের একটি ইউটিউব ভিডিওতে এই ব্যক্তিকে মারার ফুটেজটি দেখানো হয়। এখানেও একই দাবি অর্থাৎ ডিএসপি হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে উক্ত ব্যক্তিকে। vision_nepal01 নামের নেপালের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও একই ঘটনার ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে।
নেপালে ডিএসপি বলতে ‘ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ’কে বোঝানো হয়৷
নেপালের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান নেপাল ফ্যাক্টচেকের এসিস্ট্যান্ট ফ্যাক্টচেক এডিটর চেতানা কুনওয়ার রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “ভিডিওতে দেখানো পুলিশ অফিসারের পরিচয় জানা যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনজন পুলিশ অফিসারকে মৃত হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।” তবে এই ব্যক্তি তাদের একজন কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
অর্থাৎ, সার্বিক তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী এটি নিশ্চিত যে, ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়।
সুতরাং, সম্প্রতি ভোলায় আ’লীগ নেতাকে রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা দাবিতে নেপালের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Gen Z Nepal: Facebook Video