চলতি বছরের শুরুর দিকে বিয়ে পরিচালক আদনান আল রাজীবকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। বিয়ের প্রায় ৫ মাস পর হানিমুনে বিদেশ যায় এই দম্পতি। যার বেশকিছু মুহুর্তের ছবি মেহজাবীন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলে শেয়ার করেন। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, বিদেশে গিয়ে মেহজাবীন প্রকাশ্যে অন্তর্বাস পড়ে ছবি তুলেছেন দাবিতে তার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর অন্তর্বাস পরিহিত এই ছবিগুলো আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, তার কয়েকটি ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মেহজাবীন চৌধুরীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে গত ১৬ জুন প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে তিনি তাদের হানিমুনে প্যারিসের লুভর মিউজিয়াম ভ্রমণের কয়েকটি ছবি সম্বলিত একটি ফটো এ্যালবাম প্রচার করেছেন।

ছবিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ফটো এ্যালবামে থাকা মেহজাবীনের বেশ দুটি ছবির সাথে আলোচিত ছবিগুলোর পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং তার অঙ্গভঙ্গির হুবহু মিল রয়েছে। এছাড়াও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর পোশাকের রঙের সাথে তার পোস্টে প্রচারিত ছবিগুলোর পোশাকের রঙেরও মিল লক্ষ্য করা যায়। এমন ছবিগুলো দেখুন এখানে এবং এখানে।

যা থেকে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, মেহেজাবীন চৌধুরীর লুভর মিউজিয়াম ভ্রমণের এই ছবি দুটো ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিনোদন অঙ্গনের একাধিক নারী তারকা এমন ভুয়া এডাল্ট কনটেন্টের মাধ্যমে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন। এই তালিকায় মেহজাবীন ছাড়াও আরো যারা আছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাদিয়া আয়মান, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়া, পরী মণি।
সুতরাং, মেহজাবীন চৌধুরীর বিদেশে গিয়ে প্রকাশ্যে অন্তর্বাস পরে ছবি তুলেছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ছবিগুলো সম্পাদিত।